Logo
শিরোনাম

ফরিদপুরে ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা স্কুলছাত্রী, আটক-৫

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | ১১২০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

ফরিদপুর সদরে ধর্ষণের শিকার হয়ে এক কিশোরী (১৩) অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মামলা করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার। ওই কিশোরী স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী।

ফরিদপুর সদরের নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) সকালে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগীর মা। এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত শেখ সুজনসহ (২৩) পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, অন্তঃসত্ত্বা কিশোরীর গর্ভপাত ঘটানোর চেষ্টা করে সুজনের পরিবারের লোকজন। সালিশ ডেকে ক্ষতিপূরণ দেওয়াসহ বিয়ের উদ্যোগ নেয় স্থানীয় কয়েকজন মাতবর। এরই মধ্যে ঘটনাটি জানাজানি হয়ে যাওয়ায় জেলা প্রশাসন ও পুলিশের সহযোগিতায় কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করা হয়েছে।

কিশোরী বর্তমানে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। সুজন নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের বাসিন্দা ও পেশায় কাঠমিস্ত্রি। এ মামলায় সুজনসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে সুজনসহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃত অপর চার জন হলো- আলিম উদ্দীনের ডাঙ্গী গ্রামের ফজল শেখ (৫৫), ইমারত মেম্বারের ডাঙ্গী গ্রামের ফরহাদ পত্তনদার (৫০), তুইজুদ্দি মাতবরের ডাঙ্গী গ্রামের কামাল বেপারি (৫০) ও আলিম উদ্দীনের ডাঙ্গী গ্রামের শেখ শামু (৫৮)।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, সুজনের পরিবার অন্তঃসত্ত্বা কিশোরীর পরিবারকে তিন লাখ টাকা দিয়ে গর্ভপাত ঘটানোর চেষ্টা করে। গত ২১ আগস্ট একটি ভুয়া কাবিননামার মাধ্যমে লোক দেখানো সালিশের আয়োজন করা হয়। সেখানে বিয়ে পরবর্তী ডিভোর্সের ব্যবস্থা রাখা হয়। এ খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনায় জড়িত কয়েকজনকে থানায় নেয়। একইসঙ্গে কিশোরীকে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে সুজনকে গ্রেফতার করা হয়।

নর্থ চ্যানেল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোস্তাকুজ্জামান বলেন, সালিশ ডাকার পর ধর্ষণের ঘটনাটি জানতে পারি। পরে স্থানীয় মাতবরদের সালিশ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছি। সেইসঙ্গে কিশোরীর পরিবারকে আইনের আশ্রয় নিতে বলেছি।

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলার পর অভিযুক্ত সুজন ও ঘটনাটি যারা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল তাদের চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিশোরীকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গ্রেফতার পাঁচ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর