Logo
শিরোনাম

ফের ফেসবুকে নিষিদ্ধ তসলিমা নাসরিন

প্রকাশিত:বুধবার ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | ২০৪৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

কিছুদিন আগেই ফেসবুক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেছিল। এ বার ফের সাময়িক নিষিদ্ধ তসলিমা নাসরিন!

কী কারণে? অনুরাগীদের অনুমান, তাঁর জ্বলন্ত লেখা, বিতর্কিত পোস্ট সম্ভবত এক নেপথ্য কারণ। ২১ ফেব্রুয়ারিও মাতৃভাষা নিয়ে ফেসবুকে লিখেছিলেন তসলিমা নাসরিন। মাতৃভূমি বাংলাদেশে রেখে আসা স্মৃতি ভাগ করে নিয়েছিলেন লেখিকা। কী ভাবে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়? তারই এক টুকরো উঠে এসেছিল তাঁর লেখায়।

ভারতের একটি সংবাদমাধ্যমের পডকাস্টে নিজের জমে থাকা অনুভূতি প্রকাশ করেছিলেন। ভাষা দিবস তাঁকে কী ফেরত উপহার দিল? ফেসবুকে সাময়িক নিষিদ্ধ তিনি। নিষিদ্ধ তাঁর পোস্ট! লেখিকা সে কথা ব্যঙ্গের সুরে জানিয়েছেন তাঁর পাতায়, আমার জন্য একুশে ফেব্রুয়ারির উপহার!

ফেসবুকে লেখিকা পোস্ট দিয়ে দেখিয়েছেন, কী ভাবে ধাপে ধাপে নিষিদ্ধ করা হয়েছে তাঁকে। ফেসবুকের নিয়মে, ২৮ দিন তাঁর পোস্ট সবার নীচে থাকবে। ৪৫ ঘণ্টা তিনি কোনও পোস্ট বা মন্তব্য লিখতে পারবেন না। আগামী ৫ দিন তিনি কোনও ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিতে পারবেন না।

তসলিমা তাঁর শাস্তির নমুনা পেশ করতেই এবার তাঁর হয়ে মুখ খুলেছেন অনুরাগীরা। কারও যুক্তি, রিচ নিয়ে বড় সমস্যা দেখি না। আপনার পোস্ট যাঁরা পড়েন, তাঁরা খুঁজেই পড়েন৷ কেউ স্পষ্ট দাবি করেছেন, এগুলো ঘটে পোস্ট রিপোর্ট হয় বলে। তোমার শত্রুর অভাব নেই। কারওর মতে, আপনার পোস্টে অপ্রিয় সত্য থাকে বলেই এ রকম হয়। প্রমাণ করে, এখনও নিরীহ কিছু শব্দ সত্যি হলে কতটা শক্তিশালী হতে পারে।

১৭ জানুয়ারি শাঁওলি মিত্রর মৃত্যুর পরেই মৃত্যু সংক্রান্ত একটি পোস্ট দিয়েছিলেন তসলিমা। সেই পোস্টে তাঁর ইচ্ছের কথা জানিয়েছিলেন। প্রথম পংক্তিতেই লিখেছিলেন, আমি চাই আমার মৃত্যুর খবর প্রচার হোক চার দিকে। প্রচার হোক যে, আমি আমার মরণোত্তর দেহ দান করেছি হাসপাতালে, বিজ্ঞান গবেষণার কাজে।

এটুকু পড়েই ফেসবুক বুঝে নিয়েছিল, লেখিকা আর বেঁচে নেই! সঙ্গে সঙ্গে তাঁর আইডি-তে রিমেমবারিং শব্দের যোগ। মার্ক জুকারবার্গ এবং তাঁর দলের এই কীর্তিকলাপ হজম করতে কষ্ট হয়েছিল অনুরাগীদের। তাঁদের দাবি, পুরো পোস্ট পড়লেই স্পষ্ট তসলিমা শাঁওলি মিত্রের আদলে একটি শেষ ইচ্ছাপত্রের ভাবনা জানাতে চেয়েছেন। সে সব না বুঝে জীবিতকে কী করে মৃত বানিয়ে দিল নেট মাধ্যম? সে সময়েও লেখিকা বিদ্রূপ করে লিখেছিলেন, জি-হা-দিদের প্ররোচনায় ফেসবুক আমাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছিল প্রায় একুশ ঘণ্টা আগে। এই একুশ ঘণ্টায় আমি পরকালটা দেখে এসেছি।

নিউজ ট্যাগ: তসলিমা নাসরিন

আরও খবর