Logo
শিরোনাম

‘একতারা’ প্রতীক পেলেন হিরো আলম

প্রকাশিত:বুধবার ১৮ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | ১২৪৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬ দুই আসনের উপনির্বাচনে আবারও সিংহ প্রতীক নিয়ে লড়তে চেয়েছিলেন আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। তবে তাকে দেওয়া হয়েছে একতারা প্রতীক। বুধবার দুপুর ২টার দিকে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম হিরো আলমের হাতে তার বরাদ্দকৃত প্রতীক তুলে দেন।

এ সময় জেলা প্রশাসক সাইফ ইসলাম ব‌লেন, মহামান‌্য হাই‌কোর্ট থে‌কে আমরা আদেশ পেয়েছি। আমাদেরকে হিরো আলমকে প্রতীক বরাদ্দের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেই নির্দেশনার আলোকে আজকে বগুড়া-৪ এবং বগুড়া-৬ এই দুটি আসনের উপনির্বাচনের জন্য তাকে একতারা’ প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হলো।’

প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে হিরো আলম বলেন, আ‌মি সিংহ প্রতীক নি‌য়ে নির্বাচন কর‌তে চে‌য়ে‌ছিলাম। কিন্তু প্রতীক‌টি অন‌্য একটি রাজ‌নৈ‌তিক দলের নিবন্ধনে থাকায় আমি পাইনি। এতে আফ‌সোস নেই। বিকল্প প্রতীক হিসেবে আমি একতারা’ চয়েস করেছিলাম। সেটিই পেয়েছি।’

‘একতারা’ প্রতীক পছন্দ করার কারণ জানতে চাইলে হিরো আলম বলেন, আমি অভিনয় জগতের মানুষ। অভিনয় ও গান নিয়ে আমার কাজ। এ জন্য একতারা প্রতীক পছন্দ করেছি। প্রতীকটি পেয়ে আমি খুব খুশি।’

হিরো আলম আরও বলেন, গতবারের মতো এবারও অনেক যুদ্ধ করে আমাকে প্রার্থিতা পেতে হয়েছে। কেন এরকম বারবার হয়রানি করা হয় জানি না।’

স্বঘোষিত হিরো বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠ হওয়ার ব্যাপারে আমি পুরোপুরি আশাবাদী। পাশাপাশি সাধারণ মানুষ তাদের সেবা করার জন্য আমাকেই সুযোগ দেবেন বলে আমি নিশ্চিত। আমি আগামীকাল থেকেই নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করব। আমার তো এমনিতেই দেরি হয়ে গেছে। আমি সোশ্যাল মিডিয়া এবং ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাইব।’

এর আগে ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিংহ প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছিলেন হিরো আলম। তবে জিততে পারেননি। আরও একবার সংসদ সদস্য হওয়ার মিশনে নেমেছেন ফেসবুক ও ইউটিউবের এই ভাইরাল তারকা।

দলীয় সিদ্ধান্তে দুটি আসন থেকে বিএনপির সংসদ সদস্যরা পদত্যাগ করায় বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬ আসনে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ভোট গ্রহণের জন্য তফসিল ঘোষণা করেছে ইসি। এই দুই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মনোনয়নপত্র কিনে প্রার্থী হয়েছেন হিরো আলম। দুটি আসনেই তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়বেন।

যদিও দুটি আসনেই তার মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন- ইসি। কারণ হিসেবে বলা হয়, হিরো আলমের ১ শতাংশ ভোটার তালিকায় গরমিল পাওয়া গেছে। সেখানে কয়েকজন ভোটারের সমর্থন না পাওয়ায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। আইনি লড়াইয়ে মঙ্গলবার তা ফিরে পান হিরো আলম।

একই ভাবে ২০১৮ সালের নির্বাচনেও প্রাথমিক অবস্থায় তার প্রার্থিতা বাতিল করেছিল নির্বাচন কমিশন। সে বারও হাইকোর্টে রিট আবেদন করে তা ফিরে পেয়েছিলেন হিরো আলম।


আরও খবর