Logo
শিরোনাম

দুই শিশুসহ নদীতে মায়ের ঝাঁপ, ভেসে উঠল শিশু মুর্শিদার লাশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ নভেম্বর ২০২৩ | ১০২০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

গাজীপুরের কাপাসিয়ার রায়েদ ইউনিয়নের বিবাদিয়া গ্রামের আরিফা খাতুন (৪০) নামের এক বিধবা নারী দুই শিশুকন্যাসহ রোববার দুপুরে বানার (শীতলক্ষ্যা) নদীতে ঝাঁপ দেন। এ সময় স্থানীয় জেলেরা তাহমিদা আক্তার (৯) নামে এক মেয়েকে জীবিত উদ্ধার করেন।

তবে গত ৪ দিনে মা আরিফা খাতুন ও ছোট মেয়ে মুর্শিদা আক্তারকে (৭) উদ্ধার করতে পারেনি ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। ডুবুরি দল চলে যাওয়ার ১ দিন পর বুধবার নরসিংদী জেলার পলাশ থানা এলাকার নিজামউদ্দিন ঘাটে শিশুর লাশটি ভেসে উঠে। খবর পেয়ে ওই রাতেই নিজামুদ্দিন ঘাট থেকে লাশটি উদ্ধার করে নৌ-পুলিশ।

বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নরসিংদী বঙ্গার চর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) আমিরুল ইসলাম। এ ঘটনায় এখনো নিখোঁজ রয়েছেন শিশুর মা আরিফা খাতুন।

এসআই আমিরুল ইসলাম জানান, বুধবার সন্ধ্যায় পলাশ থানার নিজামুদ্দিন ঘাটে একটি লাশ ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেন এলাকাবাসী। পরে নৌ-পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে নিখোঁজদের স্বজনদের ছবি পাঠাই। রাতেই তারা ফাঁড়িতে এসে লাশটি নিখোঁজ শিশু মুর্শিদা আক্তারের বলে শনাক্ত করেন। পরে আইনগত প্রক্রিয়া শেষে লাশটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

নিহত শিশুর মামা মোজাম্মেল হোসেন জানান, আমাদের এক আত্মীয় ফেসবুকে ছবি দেখে প্রথমে লাশ উদ্ধারের বিষয়টি জানতে পারি। এরপর নরসিংদীর পলাশ থানার বঙ্গার চড় নৌ-ফাঁড়িতে যোগাযোগ করলে ছবি এবং পোশাক দেখে নিশ্চিত হই। রাতেই মরদেহ কাপাসিয়ায় নিয়ে আসি। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় জানাজা শেষে মুর্শিদার দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।

এ ঘটনায় মা আরিফা আক্তার এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। সে কাপাসিয়া উপজেলার রায়েদ ইউনিয়নের বিবাদিয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলী মুন্সির মেয়ে ও একই গ্রামের মৃত আব্দুল মালেকের স্ত্রী।

কাপাসিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) সাবেদ আলী খান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল তাদের উদ্ধার করতে কাজ করে যাচ্ছে এবং এখনো তা অব্যাহত আছে। শীতলক্ষ্যা নদীতে নিখোঁজের তিন দিন পর এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে নৌ-পুলিশ।


আরও খবর