Logo
শিরোনাম

ডিসেম্বরে চীনের ভোক্তা মূল্যস্ফীতি বেড়েছে

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | ৫০৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

চীনে বেড়েছে খাদ্যসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম। আর এ কারণে গত বছরের ডিসেম্বরে দেশটির বার্ষিক ভোক্তা মূল্যস্ফীতির হারও বাড়তে দেখা গেছে। অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকজুড়ে মূল্যস্ফীতির এ ক্রমবর্ধমান প্রবণতা অব্যাহত থাকবে। ডিসেম্বরে ভোক্তা মূল্যসূচক (সিপিআই) এর আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়েছে। এ হার নভেম্বরের ১ দশমিক ৬ শতাংশের চেয়ে বেশি। চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর (এনবিএস) সর্বশেষ প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। যার সঙ্গে মিল রয়েছে রয়টার্সের অর্থনীতিবিদদের করা পূর্বাভাসেও।

অন্যদিকে বার্ষিক উৎপাদক মূল্য সূচকে (পিপিআই) ডিসেম্বরে বেশ পতন দেখা গেছে। আগের মাসে যা ছিল ১ দশমিক ৩ শতাংশ, ডিসেম্বরে গিয়ে নেমেছে শূন্য দশমিক ৭ শতাংশে। অবশ্য রয়টার্সের অর্থনীতিবিদদের পূর্বাভাসে কেবল দশমিক ১ শতাংশ পতনের কথা বলা হয়েছিল। কারণ কোভিড মহামারীর কারণে অর্থনীতি বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

গত মাসে জিরো কোভিড নীতি থেকে সরে আসে চীন, তুলে নেয়া হয় লকডাউন। এমনকি নিয়মিত পরীক্ষার নীতিতেও শিথিলতা আসে। ফলাফল হিসেবেই অর্থনীতিবিদদের ধারণা, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকেও মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী থাকতে পারে। অর্থনীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ক্যাপিটাল ইকোনমিকসের অর্থনীতিবিদ জিচান হুয়াং বলেন, যেহেতু চীন বেশির ভাগ বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছে। তাই এখন কোভিডের সঙ্গে বসবাসেই অভ্যস্ত হতে হবে। ভোক্তা মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি হলো কোভিডের সঙ্গে বসবাসের প্রক্রিয়ায় স্থানান্তরের ক্ষেত্রে দ্রব্যমূল্যে যে চাপ পড়বে তার প্রমাণ। তবে অন্যান্য অর্থনীতি নতুন করে গতিশীল হওয়ার পর মূল্যস্ফীতির যে পরিমাণ বাড়তে দেখা যায়, চীনের ক্ষেত্রে হয়তো ততটা হবে না।

তবে মূল্যস্ফীতি বাড়লেও সুদের হার বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এটি ভূমিকা রাখবে না বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এক বছর আগের সময়ের তুলনায় খাদ্যদ্রব্যের দাম গত ডিসেম্বরে ছিল ৪ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি, নভেম্বরে যা ছিল ৩ দশমিক ৭ শতাংশ। তবে খাবার ও জ্বালানির মূল্য বাদ দিয়ে কোর মূল্যস্ফীতি এখনো হিসাব করা হয়নি। ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে গড় সিপিআই ছিল ২ শতাংশের বেশি। অন্যদিকে সরকারের লক্ষ্য ছিল এ মূল্যস্ফীতি ৩ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর। অর্থনীতিবিদ ব্রুস প্যাং বলেছেন, ২০২৩ সালে সিপিআই গড়ে ২ দশমিক ৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে।

গত সপ্তাহে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, ভোগ ও ভোক্তা চাহিদা বাড়াতে কিছু পদক্ষেপ নিয়ে গবেষণা করা হচ্ছে, যা ধীরে ধীরে প্রয়োগ করা হবে। এতে মহামারী নিয়ন্ত্রণ ও রোধের মাধ্যমে ভোক্তারা বাজারে ফিরতে শুরু করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। চলতি বছরই দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার বিষয়ে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছে মন্ত্রণালয়।

নিউজ ট্যাগ: মূল্যস্ফীতি

আরও খবর

রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন এরদোয়ান

মঙ্গলবার ২৯ আগস্ট ২০২৩