Logo
শিরোনাম

ডায়রিয়া ওয়ার্ডে বেড সংখ্যার ৫ গুণ রোগী!

প্রকাশিত:বুধবার ১২ জানুয়ারী ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | ২৭৭০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামে শীতের তীব্রতার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডায়রিয়া আক্রান্তের সংখ্যা। শয্যা সংকটে ওয়ার্ডের মেঝেতে বিছানা করে চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা। এমনকি মেঝেতে একই বেডে সর্বোচ্চ ৩ জন রোগী গাদাগাদি করে বসে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

বুধবার (১২ জানুয়া‌রি) দুপুরে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে গিয়ে এমনই দৃশ্য দেখা গেছে।

হাসপাতালটির ডায়রিয়া ওয়ার্ডের তথ্যমতে বুধবার সকাল ৮টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত মোট ৫৬ জন রোগী ভর্তি আছেন। এর মধ্যে শিশুর সংখ্যা ৪৩ জন। যা মোট রোগীর প্রায় ৭৭ শতাংশ। এছাড়াও একই দিনের সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ১৭ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

পাশাপাশি গত এক সপ্তাহে (৫ থেকে ১২ জানুয়ারি) ডায়রিয়া ওয়ার্ডে দৈনিক গড়ে ৪৭ জন রোগী চিকিসাধীন অবস্থায় ছিলেন। যা ওই ওয়ার্ডের শয্যা সংখ্যার ৪ গুণেরও বেশি।

দুপুরে হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে গেলে কর্তব্যরত সিনিয়র স্টাফ নার্স আসমা খাতুন জানান, গত কয়েকদিন ধরে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এসব রোগীর মধ্যে শিশুই বেশি। ১২ বেডের এই ডায়রিয়া ওয়ার্ডে বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ৫৬ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তি হন। এখনও রোগী আসতেছে। তাই সবাইকে বেডে জায়গা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

ডায়রিয়া ওয়ার্ডের মেঝেতে একই বিছানায় জায়গা হয়েছে আদিত্য (৮ মাস), আরাফাত (১১ মাস), রিয়া মনি (১০ মাস) নামের ৩ শিশুর। তারা বিভিন্ন জায়গা থেকে আজকে সকালে ভর্তি হন বলে জানিয়েছে রোগীর সাথে আসা অভিভাবকেরা। গাদাগাদি করে থাকায় রোগীর স্বজনদেরও কষ্ট হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তারা।

অপরদিকে কুড়িগ্রাম সদরের ভোগডাঙা ইউনিয়ন থেকে আসা রাফিয়া মনিকে (১৭ মাস) ভর্তি করানো হয় গতকাল। মেঝেতে কোনও মতে বিছানা করে শিশুকে কোলে নিয়ে রাফিয়া মনির মা মোছা ছালেহা বেগম বলেন, হাসপাতালে এত ভিড় থাকলে আমি নিজেও অসুস্থ হয়ে যাব। তারপরেও হাসপাতালে এসেছি আমার সন্তানের চিকিৎসার জন্য। এমন পরিস্থিতিতে চিকিৎসার মান নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ না করলেও কোন অভিযোগ করেননি তিনি।

কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার পুলক কুমার সরকার জানান, রোগীর সংখ্যার তুলনায় শয্যা এবং ডাক্তার পর্যাপ্ত না থাকায় চিকিৎসা সেবা দিতে কিছুটা হিমশিম খেতে হচ্ছে। তবে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত ৬০ জন নার্স দিয়ে মানসম্মত চিকিৎসা সেবা দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে।

ডায়রিয়া ওয়ার্ডে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধে ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যাপারে তিনি বলেন, রোগীর স্বজনদের সচেতন এবং নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় রোগীর স্বজনরা সেগুলো পুরোপুরি মেনে চলছে না বলেও জানান তিনি।


আরও খবর