Logo
শিরোনাম

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে ২৭ মার্চ পর্যন্ত অভিযোগ গঠন করা যাবে না

প্রকাশিত:সোমবার ২০ ফেব্রুয়ারী ২০23 | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | ১১৯৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আদালত আগামী ২৭ মার্চ পর্যন্ত অভিযোগ গঠন করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন আপিল বিভাগ। আজ সোমবার আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। এর আগে, গত বছরের ২৪ আগস্ট শ্রম আদালতের মামলা বাতিল চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস, যা আবেদনের ওপর শুনানি শেষে খারিজ হয়ে যায়। এর ফলে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইনের মামলা চলবে বলে জানানো হয়। ওই সময় আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদনটি করেন ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন।

একই বছরের ১৭ আগস্ট শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মামলা কেন বাতিল হবে না, এ মর্মে জারি করা রুল খারিজ করেন হাইকোর্ট বিভাগ। বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশনের একটি বেঞ্চ বিষয়টি নিয়ে জারি করা রুলের ওপর উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে খারিজের রায় দেন। এর ফলে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে শ্রম আদালতে আনা মামলা চলতে বাধা নেই বলে জানান আইনজীবীরা।

শুনানিতে ড. ইউনূসের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। পরে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আইনজীবী বলেন, আদালত রুল ডিসচার্জ করেছেন। তবে এ আদেশের বিরুদ্ধে আমরা আপিল বিভাগে যাব।

কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের পক্ষে এ বিষয়ে পক্ষভুক্ত হওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করা হয়। পাশাপাশি দুই মাসের মধ্যে রুল নিষ্পত্তি সংক্রান্ত আপিল বিভাগের আদেশও উপস্থাপন করা হয়।

২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চার জনের নামে মামলা করেন। ড. ইউনূস ছাড়াও এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানকে মামলায় বিবাদী করা হয়।

মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। পরে ওই মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রম স্থগিত করার পাশাপাশি রুল জারি করেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করেন। আবেদনের শুনানি নিয়ে গত বছরের ১৩ জুন মামলা বাতিলে জারি করা রুল দুই মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয়। এ সময় পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম স্থগিত থাকবে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়।


আরও খবর