Logo
শিরোনাম

চট্টগ্রামে একসঙ্গে ছয় সন্তানের জন্ম, দেড় ঘণ্টা পর মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ২১ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ নভেম্বর ২০২৩ | ৭৭০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় এক দুবাইপ্রবাসীর স্ত্রী একসঙ্গে ছয় সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে উপজেলার নাজিরহাট পৌরসভার একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্বাভাবিক প্রসবের মাধ্যমে ছয় সন্তানের জন্ম দেন ২৫ বছর বয়সী ওই নারী। কিন্তু দেড় ঘণ্টার মধ্যে সব নবজাতকের মৃত্যু হয়।

একসঙ্গে ছয় সন্তানের জন্ম দেওয়া ওই নারীর নাম তাছলিমা আকতার। তিনি নাজিরহাট পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা দুবাইপ্রবাসী মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী। জাহাঙ্গীর বর্তমানে দুবাইয়ে কর্মরত।

হাসপাতাল ও প্রসূতির স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ দুপুর ১২টার দিকে প্রসববেদনা নিয়ে নাজিরহাট পৌর সদরের সেবা ক্লিনিক অ্যান্ড নার্সিং হোমে’ ভর্তি হন সাড়ে পাঁচ মাসের সন্তানসম্ভবা নারী তাছলিমা। প্রসববেদনা বাড়া ও জরায়ুমুখ খুলে যাওয়ায় হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের চিকিৎসক স্বাভাবিক প্রসবের চেষ্টা করেন। এতে ধীরে ধীরে ছয়টি নবজাতকের জন্ম হয়। এর মধ্যে চারটি ছেলে ও দুটি মেয়ে নবজাতক।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, সাত মাস পূর্ণ হলে বাচ্চাগুলো বাঁচানো যেত। সাড়ে পাঁচ মাসে জন্ম নেওয়া নবজাতক বাঁচানো কঠিন ছিল। মৃত ছয় নবজাতককে রাত আটটার দিকে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রাতেই তাদের দাফন করা হবে। মা তাছলিমা আকতার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি শঙ্কামুক্ত।

হাসপাতালের দায়িত্বরত প্রসূতি চিকিৎসক ফাতেমা তুজ জোহরা বলেন, দেড় ঘণ্টার ব্যবধানে একে একে সব নবজাতকের মৃত্যু হয়। প্রসূতি মা তাছলিমা সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন।

প্রসূতি তাছলিমা আকতার বলেন, আমরা আসলে কল্পনাও করিনি এ রকম কিছু ঘটবে। আল্লাহর দেওয়া উপহার আমরা সানন্দে গ্রহণ করেছিলাম। এরপর যা হয়েছে, সবই আল্লাহর ইচ্ছা।’

সেবা ক্লিনিক অ্যান্ড নার্সিং হোমের প্রধান পরামর্শক স্বপন কুমার দত্ত রাতে বলেন, ছয়টি নবজাতক একসঙ্গে পেটে ধারণ করা কঠিন। বাচ্চাদের চাপে পূর্ণ বয়স হওয়ার আগেই ওই নারীর প্রসববেদনা ওঠে ও জরায়ুমুখ খুলে যায়। যার কারণে তাঁরা স্বাভাবিক প্রসব করিয়ে ওই নারীর জীবন ঝুঁকিমুক্ত করার কাজ করেন। তাতে তাঁরা সফল হয়েছেন। ওই নারীর পরিবারও সন্তুষ্ট হয়েছে। তিনি বলেন, আসলে পাঁচ মাস বয়সের বাচ্চা বাঁচানো কঠিন। সাত মাস বয়স হলে বাঁচানো যেত।’


আরও খবর