Logo
শিরোনাম

চোখ জুড়ায় সোনার চর, রুপার চর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ নভেম্বর ২০২৩ | ৫৮০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

নাম তার সোনার চর। তার পাশে রুপার চর। আরও আছে মৌডুবি, তুফানিয়ার মতো বাহারি নামের অনেক চর। পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলায় রয়েছে নয়নাভিরাম এসব চর ও দ্বীপ। প্রকৃতি তার সব রূপ-যৌবন যেন উজাড় করে দিয়ে সাজিয়েছে সোনার চরকে। সাগরের বুক চিরে জেগে ওঠা তটরেখায় ঝুরঝুরে বালি। সোনারঙের বালি। শেষ বিকেলে রোদের আলো যখন সোনার চরে বেলাভূমিতে পড়ে তখন দূর থেকে সোনালি থালার মতো মনে হয়। যেন কাঁচা সোনার প্রলেপ দেওয়া। হয়ত এ কারণেই দ্বীপটির নাম হয়েছে সোনার চর।

দ্বীপের কাছাকাছি গেলে সহজেই চোখে পড়ে বুনো মহিষ। ভাগ্য ভাল থাকলে দেখা হতে পারে হরিণপালের সঙ্গেও। রয়েছে শূকর, বানর, মেছোবাঘসহ আরও বিভিন্ন বন্যপ্রাণী। এখান থেকে দেখা যায় সমুদ্রগামী হাজারো জেলের জীবনসংগ্রাম। সমুদ্রের নীল জলরাশি আর সবুজ প্রকৃতির এমন মিলন পটুয়াখালীর মধ্যে শুধু এখানেই সুলভ। কিন্তু এখানে যাওয়া বেশ ঝকমারি। তাই বেশির ভাগ পর্যটক কুয়াকাটা ঘুরেই ফিরে যান। সোনার চর, রুপার চরের সবুজ বনাঞ্চলের সন্ধানই হয়ত জানেন না অনেকে। চরজুড়ে রয়েছে লাল কাঁকড়ার মেলা। জোয়ারের পানি উথলে উঠলে অনন্য এক সৌন্দর্য বিকশিত হয়। প্রায় তিন কিলোমিটার সৈকতের যেকোনো জায়গা থেকে দেখা যায় সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের নয়নাভিরাম দৃশ্য।

পঞ্চগড় থেকে আসা পর্যটক রাইসুল বলেন, সোনার চর বাংলাদেশের মানচিত্রে আরেকটি বাংলাদেশের হাতছানি। সুন্দরবনের বাইরে সাগরবুকে এমন বালুচর আর ফরেস্ট দেখে আমরা মুগ্ধ। সি-ট্রাকের মাধ্যমে প্যাকেজ ট্যুরের ব্যবস্থা থাকলে ভাল হত। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পর্যটন মন্ত্রণালয় বিশেষ উদ্যোগ নিতে পারে।

যে পথে যেতে হয়: পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলা শহর থেকে সড়কপথে ১০ কিলোমিটার দক্ষিণে পানপট্টি লঞ্চঘাট। সেখান থেকে ইঞ্জিনচালিত ট্রলার বা স্পিডবোটে আগুনমুখা মোহনা পেরিয়ে দক্ষিণে যাত্রা। ডিগ্রি নদীর বুক চিরে একটু বাঁয়ে যেতেই আরেকটি নদী, বুড়াগৌরাঙ্গ। সামনে গিয়ে বাঁক ঘুরতেই দাঁড়ছিড়া নদী। দুই পাশে সার দেওয়া ম্যানগ্রোভ। নদীর বুকজুড়ে গাঙশালিকের অবাধ বিচরণ। সামুদ্রিক বাতাসের মৃদুমন্দ ছোঁয়া। পথে পড়বে মায়াবী দ্বীপ চরতাপসী। তাপসীর বাঁকে পৌঁছাতেই সোনার চরের হাতছানি।

যাতায়াত সহজ করার উপায়: কুয়াকাটা থেকে সোনার চর পর্যন্ত এবং একইভাবে গলাচিপা থেকে সোনার চর পর্যন্ত সি-ট্রাকের ব্যবস্থা করা হলে পর্যটকদের যাতায়াতে সুবিধা হয়। এসব চর আর সৌন্দর্যের লীলাভূমি দ্বীপগুলোকে পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় করে তুলতে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন দরকার।

চর ঘিরে বেশ কিছু উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে বলে পটুয়াখালীর উপকূলীয় বন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এসব প্রকল্পের মধ্যে আছে জাতীয় উদ্যান সৃষ্টি, ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ, মাটির কিল্লা নির্মাণ, বনের সাথে সাগরপারের ট্রেইল নির্মাণ প্রভৃতি।

নিউজ ট্যাগ: সোনার চর

আরও খবর

অরণ্যযাপনের আগে যে বিষয়গুলি মাথায় রাখবেন

বৃহস্পতিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩