Logo
শিরোনাম

ছুটির নিমন্ত্রণে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | ১০১০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

সারা সপ্তাহ কাজের শেষে ছুটির দিনগুলোতে পরিবার বা বন্ধুবান্ধব নিয়ে ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করেন অনেকেই। তবে যান্ত্রিক এই শহরে দল বেঁধে ঘোরা বা আড্ডা দেয়ার জায়গা কমে আসছে দিনকে দিন। তবে রাজধানীর আশপাশেই আছে বেড়ানোর বেশকিছু জায়গা। চাইলেই সময় করে পরিবারসহ ঘুরে আসতে পারেন এসব স্থান থেকে।

মায়াদ্বীপ: নারায়ণগঞ্জ জেলার বারদি ইউনিয়নের মায়াদ্বীপ হতে পারে এক বিকেল কাটানোর দুর্দান্ত স্থান। মায়াদ্বীপ হলো মেঘনা নদীর বুকে ভেসে ওঠা একটি চরের নাম।মূল ভূ-খণ্ড থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরের বিচ্ছিন্ন এ দ্বীপের অবস্থান। ঐতিহাসিক সোনারগাঁয়ের ঐতিহ্যবাহী বারদি ইউনিয়নের নুনেরটেক গ্রাম মেঘনা নদীর কারণে সোনারগাঁয়ের মূল ভূ-খণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন। নদীপথে সোনারগাঁ থেকে স্থানটি ৪-৫ কিলোমিটার দূরে। মায়াদ্বীপের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া মেঘনার শাখা নদীর নীল পানি মুগ্ধ করবে মুহূর্তেই। মেঘনার জলে জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্যও উপভোগ করা যায় এই দ্বীপে।

যাবেন যেভাবে: রাজধানী থেকে মায়াদ্বীপে ভ্রমণের ক্ষেত্রে প্রথমে যেতে হবে গুলিস্তান। এরপর সেখান থেকে দোয়েল, স্বদেশ অথবা বোরাকের এসি কিংবা নন-এসি বাসে উঠে চলে যান মোগড়াপাড়া চৌরাস্তা। মোগড়াপাড়া চৌরাস্তা থেকে যেকোনো অটোরিকশা নিয়ে যেতে হবে বারদী বৈদ্যেরবাজারে। বারদী বৈদ্যেরবাজারে এসে মেঘনা নদীর ঘাট  থেকে প্রয়োজন অনুসারে ঘণ্টা চুক্তিতে (২০০ টাকা) কিংবা দিন চুক্তিতে (১২০০ টাকা) একটি নৌকা বা ট্রলার ভাড়া করে যেতে পারবেন।

সারিঘাট, কেরানীগঞ্জ: কায়াকিং ভালোবাসেন বা পছন্দ করেন যারা তাদের জন্য ছুটির দিনে বেড়ানোর আদর্শ জায়গা হতে পারে সারিঘাট। এটি কেরানীগঞ্জের বসুন্ধরা  রিভারভিউ প্রকল্পের পেছনের একটি স্থান। যা আইন্তা ও আড়াকুল গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া একটি খালের অংশ বিশেষ। খালের পাশ দিয়ে সারি ধরে করই গাছ আছে। এ কারণেই জায়গাটি সারিঘাট নামে বেশি পরিচিত।  খাল-বিল আর গাছপালার কারণে সেখানকার পরিবেশ অনেকটাই গ্রামীণ। কিছু অস্থায়ী খাবারের দোকানও পাবেন। কাশবন ছাড়াও সারিঘাটে পাবেন, কায়াকিং ও নৌকা ভ্রমণের সুযোগ। সারিঘাটের শুরুতেই পড়বে কায়াকিং, ভাড়া জনপ্রতি ১৫০ টাকা। বিকেলে ভিড় থাকে, তাই কায়াকিং করতে চাইলে পর্যাপ্ত সময় হাতে নিয়ে যেতে হবে। এ ছাড়াও নৌকা ভাড়া করলে ঘণ্টা প্রতি ১০০ টাকা গুনতে হবে। তবে আগেই দামাদামি করে নেওয়া ভালো।

যাবেন যেভাবে: কেরানীগঞ্জের সারিঘাট যাওয়ার জন্য ঢাকার যেকোনো জায়গা প্রথমে যাত্রাবাড়ী আসতে হবে। সেখান থেকে জুরাইন রেলগেট। এখান থেকে পোস্তগলা ব্রিজ পার হতে হবে। ব্রিজ পার হলেই সারিঘাট যাওয়ার অটোরিকশা মিলবে। এ ছাড়া, চাইলে জুরাইন রেলগেট থেকে সিএনজি চালিত অটোরিকশা রিজার্ভও নেওয়া যাবে।

গোলাপ গ্রাম:  গোলাপ গ্রাম - ভ্রমণপিয়াসুদের কাছে বেশ পছন্দের একটি নাম।  এর অবস্থান সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নে। তুরাগ নদীর তীরের সাদুল্লাপুর গ্রামটিই বর্তমানে গোলাপ গ্রাম হিসাবে পরিচিত। এর কারণ এই পুরো গ্রামটি জুড়েই হয় গোলাপ ফুলের চাষ। নানা রঙের গোলাপ ফুল দিয়ে ঘেরা সমস্ত সাদুল্লাহপুর গ্রামটিকে একটি বাগান মনে হয়। এখানে সাধারণত মিরান্ডি জাতের গোলাপে চাষ বেশি হয়। গ্রামের বুকের ওপর দিয়ে চলে যাওয়া রাস্তার দুপাশের বিস্তীর্ণ গোলাপের বাগান সারাক্ষণ মোহিত করে রাখবে। হাতে সময় থাকলে এখানকার কয়েকটি জমিদার বাড়ি থেকেও ঘুরে আসতে পারবেন।

যাবেন যেভাবে: ঢাকা ও এর আশপাশ থেকে কয়েকটি উপায়ে গোলাপ গ্রামে যাওয়া সম্ভব। উত্তরার দিয়াবাড়ি দিয়ে প্রথমে যেতে হবে বিরুলিয়া ব্রিজ। সেখান থেকে অটোতে করে যাওয়া যাবে সাদুল্লাহপুর। চাইলে বিরুলিয়া ব্রিজ থেকে রিজার্ভ নৌকা ভাড়া নিয়েও যেতে পারবেন।  যাত্রাবাড়ী, গুলিস্তান কিংবা ফার্মগেট থেকে মিরপুর বেড়িবাঁধে আসার অনেক বাস পাওয়া যায়। আবার মিরপুর ১, মিরপুর ১০ কিংবা গাবতলী থেকে রিকশা বা সিএনজি করে দিয়াবাড়ি বটতলা ঘাট যাওয়া যায়। এখানে বলে রাখা ভালো, এই দিয়াবাড়ি উত্তরার দিয়াবাড়ি নয়। দিয়াবাড়ি ঘাট থেকে শ্যালোইঞ্জিনের বিভিন্ন নৌকা ১০ মিনিট পরপর সাদুল্লাপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।

নেভারল্যান্ড: নামের সঙ্গে মিল রেখে গড়ে তোলা হয়েছে আশুলিয়া বেড়িবাঁধ সড়কে প্রায় ১২ একর জমির ওপর দৃষ্টিনন্দন পিকনিক ও শুটিং স্পট। সুশীতল ছায়াঘেরা নদী তীরের মুক্ত বাতাস ও কোলাহলহীন পরিবেশে পরিবার কিংবা বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে অবসর সময় কাটানোর জন্য রাজধানী ঢাকার মিরপুর-১-এর চটবাড়ী এলাকায় অবস্থিত নেভারল্যান্ড থাকতে পারে ভ্রমণের তালিকায়। এই জায়গায় আছে বাচ্চাদের জন্য প্লে-জোন, বাংলা ও চাইনিজ খাবারের রেস্তোরাঁ, কার পার্কিং ও নৌ-ভ্রমণের ব্যবস্থা। এ ছাড়া, বেড়িবাঁধ ধরে নেভারল্যান্ড পার্কে যাওয়ার রাস্তাটি খুবই উপভোগ্য। জায়গাটি প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকে। এখানে প্রবেশ করতে কোন ফি দিতে হয় না। তবে তুরাগ নদীতে ১ ঘন্টার জন্য ময়ূরপঙ্খী নৌকায় চড়তে জনপ্রতি ১০০ টাকা লাগে।

যাবেন যেভাবে: ঢাকার যে কোন স্থান থেকে মিরপুর-১ নম্বর বাসস্ট্যান্ড বা মাজার রোড এসে রিকশা নিয়ে যেমন যাওয়া যাবে নেভারল্যান্ডে তেমনি নিজস্ব যানবাহনেও যাওয়া যাবে এই জায়গাটিতে।


আরও খবর

অরণ্যযাপনের আগে যে বিষয়গুলি মাথায় রাখবেন

বৃহস্পতিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩