Logo
শিরোনাম

বরিশালে নদীর পানি বিপদসীমার ওপরে

প্রকাশিত:সোমবার ২০ জুন ২০22 | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | ৯৬০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

বরিশালে চলতি মৌসুমে একদিনে সর্বোচ্চ ৭৯.৮ মিলিটিমার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে স্থানীয় আবহাওয়া বিভাগ। আগামী অন্তত ৩ দিন মাঝারী থেকে ভারী এবং বজ্রসহ বৃস্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে তারা। এদিকে ভারী বর্ষণ, পূর্ণিমার জো এবং উত্তরাঞ্চলের বন্যার প্রভাবে বরিশাল বিভাগের ২টি নদীর পানি জোয়ারের সময় বিপদসীমা অতিক্রম করছে। আরও কয়েকটি নদীর পানি বিপদসীম ছুঁই ছুঁই করছে। স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পানির চাপ বেশি হওয়ায় ওইসব এলাকার নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে।

বরিশাল আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মাহফুজুর রহমান জানান, গত শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রবিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বিগত ২৪ ঘন্টায় ৭৯.৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা চলতি মৌসুমে একদিনে সর্বোচ্চ বৃস্টিপাত। সন্ধ্যা ৬টার দিকে বাতাসে আদ্রতার পরিমাণ ছিলো ৯৮ ভাগ।

বৃষ্টির পরিমাণ সামান্য কমে আগামী ৩ দিন মৌসুমী বায়ুর প্রভাবের কারনে মাঝারী থেকে ভারী বৃষ্টি এবং বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্ভাবাস দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারনে নদী বন্দর সমূহে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত জারী করা হয়েছে। বরিশালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ২৪.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে ভারী বর্ষণ, পূর্নিমার জো ও উত্তরাঞ্চলের বন্যার প্রভাবে বরিশাল বিভাগের ২টি নদীর পানি জোয়ারের সময় বিপৎসীমা অতিক্রম করছে।

বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের হাউড্রোগাফি বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মাসুম জানান, ভোলার তজুমুদ্দিন উপজেলা সংলগ্ন মেঘনা ও সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার (২.৮৩ মিটার) ০.১২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। বরগুনার পাথরঘাটা পয়েন্টে বিষখালী নদীর পানি বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিপৎসীমার (২.৮৫ মিটার) ০.১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এছাড়াও ভোলা খেয়াঘাট এলাকায় তেতুলিয়া নদী, দৌলখান পয়েন্টে মেঘনা ও সুরমা নদী, ঝালকাঠীর ও বরগুনা পয়েন্টে বিষখালী নদী এবং পিরোজপুর পয়েন্টে বলেশ্বর নদীর পানি বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ছুঁই ছুঁই করেছে।

পূর্নিমান জোর প্রভাবে গত কয়েক দিন ধারাবাহিকভাবে আরও কয়েকটি নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করলেও ধীরে ধীরে পানি কমতে শুরু করেছে বলে তিনি জানান। ভারী বৃস্টির কারনে নদ-নদীর পানি কিছুটা বেশী হলেও উত্তরাঞ্চলের বন্যার প্রভাব দক্ষিনাঞ্চলে পড়েছে কিনা তা বোঝা যাচ্ছে না বলে তিনি দাবী করেন।

নদী নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে বাড়ি বাড়ায় তলিয়ে যায় নিম্নাঞ্চল। লোকালয়েও প্রতিদিন দুইবেলা পানি ঢুকছে জোয়ারের সময়। ভাটির সময় আবার নেমে যাচ্ছে। এতে ক্ষতি হচ্ছে ফসলের।


আরও খবর