Logo
শিরোনাম

বরগুনার দুই ট্রলারসহ ৩২ জেলে ছয়দিন ধরে নিখোঁজ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ অক্টোবর ২০২১ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | ২৮১০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

বঙ্গোপসাগরে দুটি ট্রলারসহ ৬ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন ৩২ জেলে। এরা বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় আব্দুর রহমানের মালিকানাধীন এফবি মায়ের দোয়া ট্রলারের ১২ জেলে ও মো. লিটন মাহমুদের মালিকানাধীন এফবি আব্দুল্লাহ ট্রলারের ২০ জেলে। বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিখোঁজ জেলেরা হলেন- এফবি মায়ের দোয়া ট্রলারের পাথরঘাটা উপজেলার মঠেরখাল এলাকার নুর মোহাম্মাদ মিস্ত্রির ছেলে শাহ জাহান, ছাত্তার মোল্লার ছেলে আব্দুর রশিদ, খালেক মিস্ত্রির ছেলে মাসুদ, আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে আমির হোসেন, আব্দুর রহমানের ছেলে মিরাজ, নুরু মিয়ার ছেলে ছগির, তাফালবাড়ি এলাকার খলিল গোলদারের ছেলে ফারুক, আব্দুর রহমানের ছেলে আব্দুস ছাত্তার, আব্দুল লতিফের ছেলে নাসির, জ্ঞানপাড়া এলাকার আব্দুল গনির ছেলে খলিল, কুদ্দুসের ছেলে আবুল কালাম, বড় টেংরা এলাকার আবুল হাসেমের ছেলে ফুল মিয়া, এবং এফবি আব্দুল্লাহ ট্রলারের খোকন মাঝি, হুমায়ুন, শাহজাহান ও রাসেল। এফবি আব্দুল্লাহ ট্রলারের অন্য জেলেদের নাম জানা যায়নি, তাদের সকলের বাড়ি নোয়াখালী জেলার আলেকজান্ডার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লিটন মাহমুদের এফবি আব্দুল্লাহ ট্রলারটি গত ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার দিকে এবং গত ২৪ সেপ্টেম্বর আব্দুর রহমানের এফবি মায়ের দোয়া ট্রলারটি দেশের বৃহত্তম মৎস্য অবতরণকেন্দ্র থেকে মাছ শিকারের উদ্দেশ্যে বঙ্গোপসাগরে ছেড়ে যায়। এরপরে এফবি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি শাহজাহানের সাথে গত ২৮ সেপ্টেম্বর যোগাযোগ হলেও তার পর থেকে আর কোনো যোগাযোগ করতে পারেননি ট্রলার মালিক।

এছাড়া আব্দুল্লাহ ট্রলারের মালিক লিটন মাহমুদ তার মাঝির সঙ্গে সাগরে যাওয়ার পর থেকে কোনো যোগাযোগ করতে পারে নাই। ট্রলার মালিকরা তাদের জেলে ও ট্রলারের জন্য দুশ্চিন্তায় রয়েছেন বলেও জানা গেছে।

গোলাম মোস্তফা চৌধুরী ট্রলার মালিকদের বরাত দিয়ে জানান, ঘূর্ণিঝড় গুলাবের প্রভাবে কয়েকটি ট্রলার ডুবে গেছে এবং ৪ জেলের মৃত্যু হয়েছে। তখন থেকেই সাগরে থাকা এ দুটি ট্রলার এফবি মায়ের দোয়া ও এফবি আব্দুল্লাহ ট্রলার ৬ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে। ট্রলার মালিক ও জেলেদের পরিবারের আহাজারিতে ট্রলার উদ্ধারের জন্য জেলা ট্রলার মালিক সমিতির পক্ষ থেকে ৩টি ট্রলার উদ্ধার অভিযানে সাগরে পাঠানো হয়েছে। ২ দিন ধরে তারা উদ্ধার করার জন্য অভিযানে আছে, এখন পর্যন্ত জেলে ও ট্রলারের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে কোস্টগার্ডের পাথরঘাটা স্টেশনের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট ফাহিম শাহরিয়ার জানান, কোস্টগার্ডের দক্ষিণ জোন ও পশ্চিম জোনসহ সবাইকে জানানো হয়েছে। নিখোঁজ ট্রলার ও জেলেদের উদ্ধারের জন্য অভিযান চলছে।


আরও খবর