Logo
শিরোনাম

বোল্টদের তোপে লঙ্কান শিবিরদের পতন

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | ৮২৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

ধুঁকতে থাকা দলকে ব্যাট হাতে একাই পথ দেখিয়েছেন গ্লেন ফিলিপস, বল হাতে বাকি কাজ সেরেছেন নিউজিল্যান্ডের পাঁচ বোলার। টিম সাউদি-ট্রেন্ট বোল্টদের তোপে লঙ্কান শিবির থেমেছে ১০২ রানে। দাসুন শানাকার দলকে দেখতে হয়েছে ৬৫ রানের বড় হার।

সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ফিলিপসের ১০৪ রানের ইনিংসে ১৬৭ রানের পুঁজি পায় কিউই দল। জবাবে সাউদি-বোল্ট তোপে লঙ্কানরা পড়ে একশর নিচে গুটিয়ে যাবার শঙ্কায়। মিডলে অধিনায়ক দাসুন শানাকার ৩৫ ও ভানুকা রাজাপাকসের ৩৪ রানে সেই লজ্জা এড়ায় শ্রীলঙ্কা, তবে হার রুখতে পারেনি।

বড় জয় সেমিফাইনালের পথে আরেক ধাপ এগিয়ে দিয়েছে নিউজিল্যান্ডকে। দুই জয়, এক ড্রতে ৫ পয়েন্ট নিয়ে বর্তমানে টেবিলের শীর্ষে আছে উইলিয়ামসনের দল। নেট রানরেটেও রয়েছে সুবিধাজনক অবস্থায়। তালিকায় দুই, তিন ও চার নম্বরে সমান ৩ পয়েন্ট নিয়ে যথাক্রমে ইংল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। ৩ ম্যাচে দুটিতে হেরে তলানিতে নেমে গেছে এশিয়ার বর্তমান চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা।

শনিবার ব্যাট হাতে লঙ্কানদের আসা-যাওয়ার মিছিল শুরু প্রথম ওভার থেকেই। সময় গড়াতে গড়াতে সেটা লম্বা হয়েছে। প্রথম দশ ওভারে ৫৮ রান তুলতে লঙ্কা হারায় ৬ উইকেট। কিউই তিন পেসার আর দুই স্পিনার ধসিয়ে দেন লঙ্কান টপ-মিডল ও লোয়ার অর্ডার। ধুঁকতে ধুঁকতে কোনোরকমে পেরোয় দলীয় শতরান।

লঙ্কা পতনের সূত্রাপাত সাউদির হাতে। ইনিংসের প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে ফেরান পাথুম নিশাঙ্কাকে। মেডেন উইকেট নেওয়া ওভারের পর বাকি তিন ওভারে খরচ করেন ১২ রান। সাউদি শুরু করলেও মূল কাজ করেছেন বোল্ট। গতি, সুইং আর নিয়ন্ত্রিত লাইন লেন্থের জাদু দেখিয়েছেন এ বাহাতি। ৪ ওভারে ১৩ রানের বিনিময়ে ফাঁদে ফেলেছেন কুশল মেন্ডিস, ডি সিলভা, চারিথ আসালাঙ্কা ও লঙ্কানদের খুঁটি হয়ে থাকা দাসুন শানাকাকে। কিউই দুই স্পিনার স্যান্টনার ও ইশ সোধি নিয়েছেন দুটি করে উইকেট।

শূন্য রানে এক উইকেট থেকে দশ রানের মাঝে লঙ্কা হারায় শুরুর চার ব্যাটার। দলীয় পঞ্চাশ পেরোতেই নেই টপ ও মিডল অর্ডার। রাজাপাকসের ২২ বলে ৩৪ রান ও নবম উইকেট পর্যন্ত টিকে থাকা লঙ্কান অধিনায়কের ৩২ বলে ৩৫ রান বাদে সবার ছিল অঙ্কের ডিজিট। শেষ দিকে কাসুন রাজিথার ৮ রান ও লাহিরু কুমারার চার রানে দলীয় একশ পেরোয় শ্রীলঙ্কা।

এরআগে, গ্রুপ ১-এর ম্যাচটিতে টস হেরে বোলিংয়ে দাপট দেখান লঙ্কান বোলাররা। কাসুন রাজিথা-ভানিডু হাসারাঙ্গারা ছিলেন অনবদ্য। ফিলিপস শতক হাঁকালে এবং শেষদিকের দ্রুত রান তোলায় কিউই ইনিংস ৭ উইকেট হারিয়ে দেড়শ ছাড়িয়ে যায়।

ব্যাটিং নেমে থিকসেনা-হাসারাঙ্গার স্পিন ঘুর্ণিতে পড়ে কিউই টপ অর্ডার। দলীয় দশ রানের মাঝে ফিরেন দুই ওপেনার ফিন অ্যালন ও ডেভন কনওয়ে। তিনে নামা অধিনায়ক উইলিয়ামসও হন ব্যর্থ। আসরে বাজে ব্যাটিং প্রদর্শনী করা কিউই নেতা এদিন ১৩ বলে করেন মাত্র ৮ রান।

চতুর্থ উইকেটে কিছুটা থিতু হয়ে আসে নিউজিল্যান্ডের ইনিংস। ডেরিল মিচেলকে নিয়ে ফিলিপস আনেন ৮৪ রান। ২৪ বলে ২২ রান করা মিচেলকে ডি সিলভা ফেরালে ফের চাপে পড়ে কিউই দল। জেমস নিশাম দ্রুত রান তোলার দায়িত্ব পালনে এদিনও ব্যর্থ হন। লঙ্কানদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে দেড়শ ছাড়াবে এমন চিন্তাও তখন কঠিন ছিল। সেখানে কাজের কাজটা সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে সারেন ফিলিপস।

ডানহাতি হার্ডহিটার তুলে নেন আসরের এবং নিজের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় শতক। এরআগে, বাংলাদেশের বিপক্ষে চলতি আসরের প্রথম সেঞ্চুরি করেন রাইলি রুশো। সিডনি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফিলিপস থামে ইনিংসের দুই বল বাকি থাকতে। দল বাঁচানো সেঞ্চুরি সাজান ১০ চার ও চার ছক্কায়, ৬৪ বলে করেন ১০৪। এটি টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটে তার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান, ১০৮ রানের আরেকটি ইনিংস আছে ডানহাতি হার্ডহিটারের।

শেষদিকে ফিলিপসের যোগ্য সঙ্গ দেন মিচেল স্যান্টনার। ৫ বলে এক ছক্কায় ১১ রান তোলেন এবং শেষ বলে সাউদি ৪ মেরে আনেন চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ।

লঙ্কানদের ভালো শুরু এনে দেওয়া বোলাররা শেষের দিকে খেই হারিয়ে ফেলে। কাসুন রাজিথা ৪ ওভারে ২৩ রানে নেন ২ উইকেট। লঙ্কানদের ইনিংসে সবচেয়ে খরুচে ছিলেন লাহিরু কুমারা, ৩ ওভারে ৩৭ রানের বিনিময়ে পান একটি উইকেট। মাহেশ থিকসেনা ৪ ওভারে খরচ করেন ৩৫ রান। ২২ রান দিয়ে হাসারাঙ্গা ফেরান ড্যারিল মিচেলকে।


আরও খবর