Logo
শিরোনাম

বৈরী আবহাওয়ায় সেন্টমাটিনে ভ্রমণ নিষিদ্ধ, আটকা ৪০০ পর্যটক

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | ১৩৩৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা সুস্পষ্ট নিম্নচাপটি আজ রোববারের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। তা আরও শক্তি অর্জন করে আগামীকাল মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) যে কোন সময় বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে সিত্রাং। এ অবস্থায় সেন্ট মার্টিনে পর্যটকদের ভ্রমণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এদিকে সাগর উত্তাল থাকায় সেন্টমাটিনে আটকা পড়া চার শতাধিক পর্যটককে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে জাহাজের মালিক ও জেলা প্রশাসন।

এরই মধ্যে আটকে পড়া পর্যটকদের ফিরিয়ে আনতে রবিবার( ২৩ অক্টোবর) সকালে কক্সবাজার থেকে এমভি কর্ণফুলী জাহাজ সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কায় কাল সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকদের ভ্রমণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। স্থানীয় আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগর প্রচণ্ড উত্তাল রয়েছে। কক্সবাজার, মোংলা, পায়রা ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, সেন্ট মার্টিনে সকাল থেকে ঝড়ো হাওয়া বইতে শুরু করেছে। উত্তাল জোয়ারের পানিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। বেলা দুইটা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি।

মুজিবুর রহমান আরও বলেন, কাল সকাল থেকে জাহাজ চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে এবং যেসব পর্যটক দ্বীপে অবস্থান করছেন, তাঁদের আজ বেলা সাড়ে তিনটায় জাহাজে ওঠে কক্সবাজার ফিরে যেতে অনুরোধ জানিয়ে দ্বীপে মাইকিং করা হয়েছে।

এমভি কর্ণফুলী জাহাজের কক্সবাজারের আঞ্চলিক পরিচালক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির কারণে সেন্ট মার্টিনে যেসব পর্যটক আটকে পড়েছেন, সবাই এই জাহাজের যাত্রী। সাগর উত্তাল হলেও আটকে পড়া পর্যটকদের কক্সবাজারে ফিরিয়ে আনা হবে। রাত ৯টার মধ্যে জাহাজটি পুনরায় কক্সবাজার পৌঁছার কথা রয়েছে।

সেন্ট মার্টিন সার্ভিস ট্রলার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, দ্বীপের তিন শতাধিক নৌকা, ট্রলার, স্পিডবোট জেটি ঘাটে নোঙর করা আছে। সাগর উত্তাল থাকায় টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. এরফানুল হক চৌধুরী বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে স্থানীয় লোকজনের ক্ষয়ক্ষতি রোধে সাইক্লোন শেল্টার ও বহুতল ভবনগুলো খোলা রাখার জন্য ইউনিয়ন পরিষদকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দ্বীপের মানুষের জন্য শুকনা খাবার, পানিসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হচ্ছে।

আবহাওয়াবিদেরা আশঙ্কা করে বলছেন, কাল সোমবার দেশের উপকূলসহ বেশির ভাগ এলাকাজুড়ে বৃষ্টি শুরু হতে পারে। বৃষ্টি বেশি হলে ঘূর্ণিঝড়ের গতি কমে আসতে পারে।

সরকারের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে উপকূলের সব কটি জেলার জন্য ভারী বৃষ্টি ও বন্যার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। নিম্নচাপের প্রভাবে এরই মধ্যে রাজধানীসহ দেশের প্রায় সব এলাকার আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হচ্ছ। এলাকাগুলোয় এরই মধ্যে মাঝারি বৃষ্টি শুরু হয়েছে।


আরও খবর