Logo
শিরোনাম

বঙ্গোপসাগরে নৌকাডুবি : আরও ৭ রোহিঙ্গার মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ আগস্ট ২০২১ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | ৩৪৯৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

ভাসানচর থেকে পালানোর সময় বঙ্গোপসাগরে নৌকাডুবির ঘটনায় চার দিনে শিশুসহ সাত রোহিঙ্গার মরদেহ ভেসে এসেছে তীরে। এখনও নিখোঁজ অন্তত ১৯ জন।

সবশেষ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় ও বেলা দেড়টায় সন্দীপের দুটি স্থান থেকে পাওয়া গেছে এক শিশু ও এক পুরুষের মরদেহ।

কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের জোনাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন কাজী শাহ আলম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সন্দীপের সারিকাইত এলাকায় ভেসে আসে ৬ বছরের ছেলেশিশুর মরদেহ। বেলা দেড়টার দিকে ছোঁয়াখালী এলাকায় পাওয়া যায় পুরুষের মরদেহটি।

শাহ আলম বলেন, জোয়ারের পানিতে মরদেহগুলো ভেসে এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মরদেহ দুটি ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের বসবাসের সুবিধার্থে ভাসানচরে আবাসন করে দিয়েছে সরকার। কিন্তু তারা লোভের কারণে দালালদের খপ্পরে পড়ে ছোট নৌকায় বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে পালানোর চেষ্টা করছে। দালালরা বড় বোটে বঙ্গোপসাগর পার করার কথা বললেও ছোট ছোট নৌকা দিয়েই তারা পার করছে। এতেই এমন দুর্ঘটনা ঘটছে।

এর আগে সোমবার সন্দীপের সারিকাইত থেকে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দুই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে কোস্টগার্ড। এ দিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সন্দীপের গুপ্তছড়া ও ছোঁয়াখালীতে পাওয়া যায় আরও দুই নারীর মরদেহ। আর রবিবার বিকেল ৪টার দিকে ভাসানচর থেকে ১০-১২ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণ থেকে এক শিশুর মরদেহ পাওয়া যায়।

ভাসানচর থেকে পালানোর সময় শুক্রবার রাত আড়াইটার দিকে বঙ্গোপসাগরে নৌকা ডুবে অন্তত ২৬ রোহিঙ্গা নিখোঁজ হন। ভাসানচর থেকে প্রায় ১৬ কিলোমিটার দূরে ভাসানচর ও চট্টগ্রামের মাঝামাঝি সাগরে এ ঘটনা ঘটে।

কোস্টগার্ড কর্মকর্তা আব্দুর রউফ সে সময় জানান, শুক্রবার রাতে ৩৮ থেকে ৪০ জন রোহিঙ্গা ভাসানচর থেকে নৌকা নিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। চট্টগ্রামের দিকে ১৪ থেকে ১৬ কিলোমিটার যাওয়ার পর নৌকাটি ডুবে যায়। এ সময় ১২ জন সাঁতরে কাছাকাছি থাকা মাছ ধরার নৌকায় উঠে ভাসানচরে ফিরেছেন।


আরও খবর