Logo
শিরোনাম

‘বিএসএমএমইউর প্রিজন সেল যেন রিসোর্টে পরিণত’

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | ৯৮০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) প্রিজন সেল যেন কক্সবাজারের রিসোর্টে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।

বুধবার (২৯ জুন) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চে সাবেক সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশিদের চিকিৎসার জন্য মেডিকেল বোর্ড গঠনের আবেদনের শুনানি চলাকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।

শুনানিতে মো. খুরশীদ আলম খান বলেন, ভিআইপি বন্দিরা কারাগারে গেলেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তারা চিকিৎসার জন্য বিএসএমএমইউর প্রিজন সেলে আসেন। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে, যেন প্রিজন সেল কক্সবাজারের রিসোর্টে পরিণত হয়েছে। এই চর্চা বন্ধ করতেই হবে।

শুনানি শেষে হারুন-অর-রশিদের চিকিৎসায় মেডিকেল বোর্ড গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আদালতে হারুনের পক্ষে অ্যাডভোকেট রবিউল আলম বুদু ও আইনজীবী মাইনুল ইসলাম এবং দুদকের পক্ষে অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান ও রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক শুনানি করেন।

গতকাল (২৮ জুন) হাইকোর্টে নিজের চিকিৎসায় মেডিকেল বোর্ড গঠন করতে আবেদন করেন হারুন-অর-রশিদ।

গত ৯ জুন সাজার আদেশের বিরুদ্ধে হারুন-অর-রশিদের আপিল ও জামিন আবেদনের শুনানি শেষে হাইকোর্ট তার জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়ে মামলার নথি তলব করেন।

গত ১২ মে আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম।

রায়ে ডেসটিনির এমডি রফিকুল আমীনকে ১২ বছরের কারাদণ্ড ও দুই শ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি গ্রুপের চেয়ারম্যান সাবেক সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশিদকে ৪ বছরের কারাদণ্ড ও সাড়ে তিন কোটি টাকা জরিমানা করা হয়।

জানা গেছে, মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভের নামে ডেসটিনি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ১ হাজার ৯০১ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। সেখান থেকে আত্মসাৎ করা হয় ১ হাজার ৮৬১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।

এরপর ডেসটিনির এমডি রফিকুল আমিনসহ ৫১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এরমধ্যে কো-অপারেটিভ সোসাইটির মামলায় ৪৬ জন এবং ট্রি-প্ল্যানটেশন মামলায় ১৯ জনকে আসামি করা হয়। মোট আসামি ৬৫ জন হলেও রফিকুল আমিনসহ ১৪ জনের নাম দুই মামলায় থাকায় মোট আসামি ৫১ জন।

তাদের মধ্যে রফিকুল আমিন, প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মো. দিদারুল আলম গত ১০ বছর ধরে কারাগারে আছেন। জামিনে রয়েছেন হারুন-অর-রশিদ, জেসমিন আক্তার (মিলন), জিয়াউল হক মোল্লা ও সাইফুল ইসলাম রুবেল। বাকি ৪৪ জন এখনও পলাতক।

পলাতক আসামিরা হলেন- ডেসটিনির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোফরানুল হক, পরিচালক মেজবাহ উদ্দিন, ফারাহ দীবা, সাঈদ-উর-রহমান, সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন, মো. ফিরোজ আলম, সুনীল বরণ কর্মকার ওরফে এসবি কর্মকার, ফরিদ আকতার, এস সহিদুজ্জামান চয়ন, আবদুর রহমান তপন, মেজর (অব.) সাকিবুজ্জামান খান, এসএম আহসানুল কবির (বিপ্লব), এএইচএম আতাউর রহমান রেজা, গোলাম কিবরিয়া মিল্টন, মো. আতিকুর রহমান, খন্দকার বেনজীর আহমেদ, একেএম সফিউল্লাহ, শাহ আলম, মো. দেলোয়ার হোসেন ও মো. শফিকুল হক, জমশেদ আরা চৌধুরী, ইরফান আহমেদ, শেখ তৈয়বুর রহমান, নেপাল চন্দ্র বিশ্বাস, জাকির হোসেন, জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া, জুবায়ের হোসেন, মোসাদ্দেক আলী খান, আবদুল মান্নান, আবুল কালাম আজাদ, আজাদ রহমান, মো. আকবর হোসেন সুমন, মো. সুমন আলী খান, শিরীন আকতার, রফিকুল ইসলাম সরকার, মো. মজিবুর রহমান, ড. এম হায়দারুজ্জামান, মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, কাজী মো. ফজলুল করিম, মোল্লা আল আমীন, মো. শফিউল ইসলাম, ওমর ফারুক, সিকদার কবিরুল ইসলাম, এসএম আহসানুল কবির।


আরও খবর