চাহিদা অনুযায়ী উচ্চ মাত্রার
অক্সিজেন না পাওয়ায় বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে সাতজন করোনায় আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু
হয়েছে। হাসপাতালে হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা সংকটে তাদের মৃত্যু হয়।
শুক্রবার (২ জুলাই) দুপুর
১২টা পর্যন্ত গত ১৬ ঘণ্টায় পর্যাপ্ত অক্সিজেন না পাওয়ায় তাদের মৃত্যু হয়। এছাড়াও শহীদ
জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে,
২০০ শয্যার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে শুক্রবার সকাল ৭টা পর্যন্ত ২২৩ জন রোগী ভর্তি ছিলেন।
তাদের মধ্যে বেশিরভাগেরই উচ্চ মাত্রার অক্সিজেন সরবরাহ প্রয়োজন ছিল। কিন্তু হাসপাতালটিতে
বর্তমানে মাত্র দু’টি হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা
থাকায় দু’জনের
অতিরিক্ত আর কোনো রোগীকে উচ্চ মাত্রার অক্সিজেন দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। যে কারণে যাদের
অক্সিজেন স্যাচুরেশন (রক্তে ঘনীভূত অক্সিজেনের মাত্রা) ৮৭’র
নিচে তাদের জীবন সংকটাপন্ন হয়ে পড়েছে।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল
অফিসার (আরএমও) ডা. শফিক আমিন কাজল জানান, হাসপাতালে রোগীর যে পরিমাণ চাপ রয়েছে তাতে
অন্তত ২০টি হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলা প্রয়োজন। কিন্তু হাসপাতালে মাত্র দু’টি
হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলা থাকার কারণে চাহিদা অনুযায়ী রোগীদের অক্সিজেন সরবরাহ করা সম্ভব
হচ্ছে না। ফলে অধিক শ্বাসকষ্টে থাকা রোগীদের বাঁচানো কঠিন হয়ে পড়েছে।
বগুড়ার সিভিল সার্জন গউসুল
আজিম চৌধুরী বলেন, গত বছর মোহাম্মদ আলী হাসপাতালকে করোনা বিশেষায়িত ঘোষণা করার সময়
আইসিইউ ও কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা কোনোটাই ছিল না। পরে ৮ শয্যার আইসিইউ
চালু করা হয়। কিন্তু হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলার বরাদ্দ মিলেছে মাত্র দু’টি।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা চালু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শহীদ জিয়াউর
রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে আরও কমপক্ষে ২৫টি হাই ফ্লো
ন্যাজাল ক্যানুলা দরকার। বরাদ্দ চেয়ে দফায় দফায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো
হয়েছে। তবে এখনো বরাদ্দ মেলেনি।
উল্লেখ্য, জেলায় এখন পর্যন্ত
করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ৭৩ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মারা গেছেন ৪১০ জন
ও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১২ হাজার ৭৪৮ জন।