আজ ঈদ
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, বীজের বিষয়ে এখনও অনেক অভিযোগ আসছে। মাঠ থেকে খবর আসে, চারা অর্ধেক গজায়নি। কৃষকরা নিম্নমানের বীজ কিনে প্রতারিত হচ্ছে। এখনো কিছু কোম্পানির প্রতারণা করার প্রবণতা আছে। বিদেশ থেকে নতুন ফসলের বীজ যা আসছে তার বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। এসব জাত দেশের জন্য কতটুকু উপযোগী, কোনো রোগব্যাধি বা জীবাণু আছে কি না, কৃষককে ক্ষতিগ্রস্ত করবে কি না, তা খতিয়ে দেখতে হবে শক্তভাবে।
শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীতে আয়োজিত বাংলাদেশ সিড কংগ্রেসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে কৃষি মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ সিড অ্যাসোসিয়েশন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার, গেস্ট অব অনার হিসেবে আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক জ্যান বেলি, এফএওর বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট সিম্পসন, সিড এসোসিয়েশনের সভাপতি এম আনিস-উদ-দৌলা, এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিক সিড অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মনিশ প্যাটেল, ইন্টারন্যাশনাল সিড ফেডারেশনের জেনারেল সেক্রেটারি মাইকেল কেলার।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষি উৎপাদনের মূল উপকরণ হলো বীজ। ভালো ফলন ও উৎপাদনশীলতার জন্য মানসম্পন্ন বীজ অপরিহার্য। বীজের মানের বিষয়ে কৃষকের শতভাগ আস্থা অর্জন করতে হবে। বীজের মানের বিষয়ে কোনোরকম ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ার করে দেন তিনি।
এ সময় তিনি মানসম্পন্ন বীজ নিশ্চিত করতে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদেরকে কঠোরভাবে মনিটরিংয়ের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি কর্মকর্তাদেরকে আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার তাগিদ দেন মন্ত্রী।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বীজসহ কৃষি উপকরণে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বিগত ১৪ বছরে সার-বীজের কোনো সংকট হয়নি। বিশ্বব্যাপী সারের দাম বাড়লেও সরকার দাম বাড়ায়নি, বরং আগের চেয়ে চারগুণের বেশি ভর্তুকি দিচ্ছে। অপরদিকে বীজের দামও বাড়ায়নি সরকার। আগামীতেও সার-বীজের দাম বাড়াবে না বলে জানান তিনি।
