লক্ষ্মীপুরে মেঘনা
নদীর সৃষ্ট জোয়ারের পানিতে উপকূল সংলগ্ন বেশ কিছু এলাকা তলিয়ে গেছে। গত কয়েকদিনের জোয়ারের
পানির চেয়ে শনিবারের (১৩ আগস্ট) জোয়ারের পানির উচ্চতা ছিল অনেক বেশি।
স্থানীয় জানান,
স্বাভাবিকের চেয়ে অন্তত তিন ফুটের বেশি পানি উপকূলে ঢুকে পড়েছে। এতে ডুবে গেছে বাড়িঘর,
রাস্তাঘাট, মাছের পুকুর ও ফসলি জমি। ফলে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। নদীর
তীব্র ঢেউয়ে উপকূলজুড়ে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে।
উপকূলীয় এলাকার
বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মেঘনা নদীর উপকূলীয় কমলনগর এবং রামগতি উপজেলার প্রায় ৩৭ কিলোমিটার
এলাকা অরক্ষিত হয়ে পড়েছে। নদীর তীররক্ষা বাঁধ নির্মাণ না হওয়ায় মেঘনার সৃষ্ট জোয়ারের
পানি সহজেই লোকালয়ে ঢুকে যায়। এছাড়া সদরের চররমনী মোহন এবং রায়পুরের দক্ষিণ চরবংশী
ও উত্তর চর বংশী এলাকায় পানি ঢুকেছে।
লক্ষ্মীপুর সদর
উপজেলার চররমনী মোহন ইউনিয়নের চর আলী হাসান গ্রামের বাসিন্দা নুরুল আলম বলেন, জোয়ারের
পানির তোড়ে আমাদের এলাকার মনপুরা ব্রিজ-চেয়ারম্যান বাড়ি সড়ক ভেঙে গেছে। এতে ভাঙা রাস্তা
দিয়ে অতিরিক্ত পানি ঢুকে বাড়িঘর তলিয়ে গেছে। এলাকার আনোয়ার হোসেন ও রৌশন আলীসহ বেশ
কয়েকজনের পুকুরের মাছ ভেসে গেছে।
লক্ষ্মীপুর পানি
উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ফারুক আহমেদ বলেছেন, প্রতি অমাবস্যা এবং পূর্ণিমার
জোয়ারে মেঘনা নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে দুই থেকে আড়াই ফুট পানি বৃদ্ধি পায়। এখন পূর্ণিমা
এবং বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ থাকায় জোয়ারের অতিরিক্ত পানি উপকূলের বাড়িঘরে ঢুকেছে। আগামী
১৫ আগস্ট পর্যন্ত এ অবস্থা অব্যাহত থাকবে।