Logo
শিরোনাম

বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় আটক তিন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৮ ডিসেম্বর ২০২০ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | ২০২০জন দেখেছেন
Image
গত ৫ ডিসেম্বর কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীন ভাস্কর্যটি ভাঙচুরের ঘটনায় কুষ্টিয়াসহ সারাদেশ প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া মহাবিদ্যালয় চত্বরের বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে তাদের আটক করে কুমারখালী থানা পুলিশ। আটকরা হলেন- কয়া বাঘা যতীন ডিগ্রি কলেজের সভাপতি অ্যাডভোকেট নিজামুল হক চুনু, অধ্যক্ষ হারুনর রশিদ ও নৈশপ্রহরী খলিলুর রহমান।

এর আগে গত ৫ ডিসেম্বর কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীন ভাস্কর্যটি ভাঙচুরের ঘটনায় কুষ্টিয়াসহ সারাদেশ প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে। 

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকালে বাঘা যতীন কলেজ চত্বরের ভাস্কর্যটি ভাঙা দেখে পুলিশকে সংবাদ দেওয়া হয়। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজিবুল ইসলাম খান বলেন, বিপ্লবী বীর বাঘা যতীনের মুখ ও নাকের একাংশ ভেঙে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। কুষ্টিয়াতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙার পর আমরা প্রশাসনিকভাবে দুর্বৃত্তদের আটক করেছি, এ ঘটনায় ও খুব দ্রুত দোষীদের খুঁজে বের করা হবে। 

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান জানান, সকাল ১১টার দিক স্থানীয়দর কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। ইতোমধ্যে কুষ্টিয়া পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থাসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তর তদন্ত কাজ শুরু করেছে। এ ঘটনায় যারাই জড়িত থাক তাদের খুব দ্রুত আটক করে আইনের আওতায় আনা হবে।

কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার এস এম তানভির আরাফাত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, এ মাসের শুরুর দিক বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের পর সংসদ সদস্যদের উপস্থিতিতে জেলা প্রশাসন, পুলিশসহ প্রতিনিধিত্বশীল ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে সিদ্ধান্ত হয়েছে, যেখানেই ভাস্কর্য আছ তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখানে বাঘা যতীনের ভাস্কর্যটি আছে সেটা আমাদের জানানো হয়নি। সে কারণে কলেজ কর্তৃপক্ষ দায় এড়াতে পারেন না। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। 

নিউজ ট্যাগ: কুষ্টিয়া

আরও খবর