Logo
শিরোনাম

আলুর ভরা মৌসুম সত্ত্বেও বিপাকে কৃষকরা

প্রকাশিত:বুধবার ০২ ফেব্রুয়ারী 2০২2 | হালনাগাদ:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | ১২৯০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

খরচ তোলার সংশয়ে কৃষকরা জমি থেকে আলু তুলছেন না। অথচ এখন আলুর ভরা মৌসুম; তা সত্ত্বেও মৌসুমে আলু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন নীলফামারীর সৈয়দপুরের কৃষকরা। লাভ তো দূরের কথা, খরচ তোলা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন অনেক কৃষক। যার কারণে জমি থেকে আলু তুলতে চাচ্ছেন না তারা।

কৃষকরা বলছেন, বিঘাপ্রতি আলু উৎপাদনে খরচ ১৫-১৬ হাজার টাকা। যেখানে বর্তমান বাজারদর ৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করলে বিঘাপ্রতি আসে ১২ হাজার টাকার কিছু বেশি। সে হিসাবে লোকসান গুনতে হবে আলুতে।

তবে কৃষি বিভাগ বলছে, এখনও আলু তোলা ও বেশি দামে বিক্রি হওয়ার অনেক সময় রয়েছে। সে কারণে কৃষকদের হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই। ভালো দামে বিক্রি করতে পারবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করে কৃষি দপ্তর।

উপজেলার কাশিরামের চওড়া আলুচাষি সাবেদুল ইসলাম বলেন, দুই বিঘা জমিতে আলু আবাদ করেছি আমি। এখন বাজারদর অনেক খারাপ। পাঁচ টাকা থেকে সাড়ে পাঁচ টাকায় কেজিতে আলু বিক্রি হচ্ছে জমিতে। এই দামে বিক্রি করলে লাভ তো দূরের কথা খরচ উঠবে না।

একই এলাকার কৃষক প্রফুল্ল চন্দ্র বলেন, এক বিঘা জমিতে আলু করেছি। ১৫ হাজার টাকার কাছাকাছি খরচ হয়। এবার দাম কম মনে হচ্ছে। আলুর ফলন বাম্পার হয়েছে। বাজারদর ভাবিয়ে তুলছে আমাকে।

সৈয়দপুর কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এবার নীলফামারীতে ২২ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল; সেখানে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে আবাদ হয়েছে ২২ হাজার ৩১০ হেক্টরে। যেখানে আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে চার লাখ ৪৯ হাজার ৭৯১ টন।

জানতে চাইলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক আফজাল হোসেন বলেন, জেলায় ১১ হিমাগার রয়েছে। এগুলোতে পর্যাপ্ত জায়গা রয়েছে আলু রাখার জন্য।  এ ছাড়া সরকারিভাবে বিএডিসির বীজ উৎপাদন খামারে একটি বীজ হিমাগার স্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে। এটি হয়ে গেলে অনেক উপকৃত হবেন এখানকার আলু চাষিরা।

নিউজ ট্যাগ: আলু বাম্পার ফলন

আরও খবর

শখের নার্সারিতে সফল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মনির

মঙ্গলবার ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

জয়পুরহাটে ৮৫৫ হেক্টর জমিতে ভুট্টার চাষ

মঙ্গলবার ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩