Logo
শিরোনাম

২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটামে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি স্থগিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ অক্টোবর ২০22 | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | ৮৮৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

হাসপাতালে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত দোষীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তি নিশ্চিত করার আশ্বাস পেয়ে কর্মবিরতি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। আগামীকাল শুক্রবার সকাল থেকে তারা কাজে যোগদান করবেন।

বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে ধর্মঘট স্থগিত ও কর্মবিরতি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. ইমরান হোসেন।

তিনি বলেন, কর্মবিরতি শিথিল করা হয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে সকল ইন্টার্নরা কাজে যোগদান করবেন। তবে আসামিদের গ্রেপ্তারে আমরা ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছি। এ সময়ের মধ্যে আসামিরা গ্রেপ্তার না হলে শনিবার মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচির মাধ্যমে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। তিনি আরও জানান, কর্মবিরতিতে হাসপাতালের জরুরি ওয়ার্ডগুলোর চিকিৎসাসেবা বন্ধ হয়নি। বরং চালু আছে।

এর আগে বুধবার রাত ৮টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হলের তিনতলা থেকে পড়ে গুরুতর আহত হন মার্কেটিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র শাহরিয়ার। পরে তাকে রামেক হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ৮নং ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। রাত ৯টার দিকে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

সহপাঠীর মৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ এনে রাবি শিক্ষার্থীরা রামেক হাসপাতালে হাসপাতালে ভাঙচুর চলান। তাঁরা দুজন চিকিৎসককে মারপিট করে অবরুদ্ধ করে রাখেন। এ সময় হাসপাতালের আনসার সদস্য ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সঙ্গে রাবি শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে পাঁচ রাবি শিক্ষার্থী আহত হন।

হাসপাতালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের ভাঙচুর ও হামলার প্রতিবাদে বুধবার রাত পৌনে ১১টায় ধর্মঘট ও কর্মবিরতি ঘোষণা করে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। অন্যদিকে বিক্ষুব্ধ রাবি শিক্ষার্থীরা রামেক হাসপাতালে অবস্থান নেন। পরে রাত দুইটার দিকে তদন্ত কমিটি গঠন ও দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার আশ্বাসে তারা রামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে থেকে সরে যান।

এ ঘটনায় রাবি, রামেক হাসপাতাল ও নগর পুলিশের সভায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়া পাঁচ সদস্যের একটি অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটিও গঠন করেছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। নিউরো মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. কফিল উদ্দীনকে প্রধান এবং হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. গৌতম পালকে সদস্য সচিব করে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। চিকিৎসকদের দায়িত্বে অবহেলা খতিয়ে দেখতে, সরকারি সম্পদ ভাঙচুর এবং হামলায় জড়িতদের চিহ্নিত করতে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, গত রাতের ওই কমিটির পর এরকটি অভ্যন্তরীণ কমিটি গঠন করা হয়েছে। শিক্ষার্থীর চিকিৎসায় আসলেই কোনো অবহেলা ছিল কিনা, হাসপাতালে ভাঙচুর ও ক্ষতির বিষয়ে কমিটি তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেবে।

তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় অজ্ঞাতদের আসামি করে হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম একটি মামলা করেছেন। ইন্টার্ন চিকিৎসকরা দোষীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি নিশ্চিত করার শর্তে কর্মবিরতি স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।


আরও খবর