পাবনার ঈশ্বরদী
উপজেলায় ঋণ নিয়ে ফেরত না দেওয়ার অভিযোগে করা একটি মামলায় ৩৭ জন কৃষকের নামে গ্রেফতারি
পরোয়ানা জারি করেন পাবনার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালত। বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর)
রাত থেকে শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) সকাল পর্যন্ত ঈশ্বরদীর বিভিন্ন গ্রাম থেকে তাদের মধ্যে
১২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার বিকেলে
তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার রাত
৮টায় ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার বাংলানিউজকে এতথ্য নিশ্চিত
করেন।
বাংলাদেশ সমবায়
ব্যাংক নামের একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়েছিলেন ওই কৃষকরা। ঋণের টাকা পরিশোধ
করার পরও তাদের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয় বলে দাবি করেন কৃষকরা।
জেলে পাঠানো কৃষকরা
হলেন- ঈশ্বরদী উপজেলার ছলিমপুর ইউনিয়নের ভাড়ইমারি গ্রামের আলম প্রামাণিক (৫০), মনি
মণ্ডলের ছেলে মাহাতাব মণ্ডল (৪৫), আবদুল গণি মণ্ডল (৫০), কামাল প্রামাণিকের ছেলে শামীম
হোসেন (৪৫), মৃত আয়েজ উদ্দিনের ছেলে সামাদ প্রামাণিক (৪৩), মৃত সামির উদ্দিনের ছেলে
নূর বক্স (৪৫), রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ আকরাম (৪৬), লালু খাঁর ছেলে মোহাম্মদ
রজব আলী (৪০), কিতাব আলী (৫০), হারেজ মিয়ার ছেলে হান্নান মিয়া (৪৩), মৃত আবুল হোসেনের
ছেলে মোহাম্মদ মজনু (৪০) ও মৃত আখের উদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ আতিয়ার রহমান (৫০)। তাঁরা
সবাই প্রান্তিক কৃষক।
এজাহার সূত্রে
জানা গেছে, বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক থেকে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা করে ঋণ নিয়েছিলেন ৩৭
জন কৃষক। এই ঋণ ফেরত না দেওয়ার অভিযোগে ২০২১ সালে তাদের নামে মামলা হয়। পরে আদালত তাদের
বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১২ জনকে
গ্রেফতার করে।
ঈশ্বরদী থানার
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার জানান, ২০২১ সালে ওই ৩৭ কৃষকদের নামে মামলা
করা হয়। পরে আদালত বুধবার তাদের নামে পরোয়ানা জারি করেন। এর ভিত্তিতে ১২ জনকে গ্রেফতার
করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কৃষকেরা দাবি করেন, তারা ঋণের টাকা
পরিশোধ করেছেন। এরপর কেন মামলা হলো, তা তারা জানেন না।