পাবনার ঈশ্বরদীতে
রিকশাচালক মামুনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় সাকিবুর রহমান নামে আরও একজনকে গ্রেপ্তার
করেছে পুলিশ। এছাড়া হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত পিস্তল ও তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার দুপুরে পাবনা পুলিশ সুপার কার্যালয় চত্বরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ
সুপার আকবর আলী মুন্সী।
পুলিশ সুপার
আকবর আলী মুন্সী বলেন, ঈশ্বরদীর পশ্চিম টেংরি এলাকায় ভুটভুটি ও পিকআপের সংঘর্ষ হয়।
এতে পিকআপের সামনের গ্লাস ভেঙে যায়। সেটার ক্ষতিপূরণ আদায় করা নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে
ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি কামাল উদ্দিনের ছোট ভাই আনোয়ারের শ্যালক
সুজনের কথা কাটাকাটি হয়। পরে সুজন ফোনে তার দুলাভাই আনোয়ার উদ্দিনকে জানালে তিনি তার
লোকজন নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় আনোয়ারের গুলিতে রিকশাচালক মামুন মারা
যান।
তিনি আরও বলেন,
ঘটনায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় রাজশাহীর চারঘাট থেকে সাকিবকে
গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় উদ্ধার করা হয় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত পিস্তল ও তিন রাউন্ড গুলি।
এর আগে বুধবার
(১১ জানুয়ারি) আনোয়ার উদ্দিনকে আরমবাড়িয়া থেকে, বৃহস্পতিবার ভোরে কুষ্টিয়া থেকে ইব্রাহিমকে,
শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) ঈশ্বরদী উপজেলা সদরের শৈলপাড়া এলাকা থেকে মামলার এক নম্বর আসামি
কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা কামাল উদ্দিন এবং তার ভাতিজা হৃদয় হোসেনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
উল্লেখ্য, গত
বুধবার (৪ জানুয়ারি) রাতে তুচ্ছ ঘটনায় কথা কাটাকাটির জেরে শহরের পশ্চিমটেংরি কড়ইতলা
এলাকায় রিকশাচালক মামুন হোসেনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করেন যুবলীগ নেতা আনোয়ার
উদ্দিন। এ ঘটনায় নিহত মামুনের মা লিপি আক্তার বাদী হয়ে ৫ জানুয়ারি মধ্যরাতে চারজনকে
নামীয় ও আরও ৩-৪ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে ঈশ্বরদী থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার অপর দুই আসামী ঈশ্বরদী পৌরসভার কাউন্সিলর ও ১নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি কামাল
উদ্দিন (৪৮) এবং ওই ওয়ার্ডের ছাত্রলীগের সভাপতি হৃদয় হোসেনকে (২৪) ঘটনার পরদিন গ্রেপ্তার
করে পাবনার র্যাব সদস্যরা।